ভারতের সংবিধানের মৌলিক অধিকার:
মৌলিক অধিকার (Fundamental Rights) 12-35 নং ধারা:
12 নং ধারায় মৌলিক অধিকারের সংজ্ঞা।
Article 13: of Indian constitution uses the words “to the extent of such inconsistency be void Doctrine of Severability is coherent to this”.
সাম্যের অধিকার (Right to Equality) 14-18 নং ধারা:
- 14 নং ধারা: আইনের দৃষ্টিতে সাম্য ও আইনের সমান সংরক্ষণ (Equality before law & equal protection of law).
- 15 নং ধারা: ধর্ম, জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ বা জন্মস্থানের ভিত্তিতে সমতা অর্থাৎ সম সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে (Prohibition of discrimination on grounds of religion, race, caste, sex or place of birth)।
- 15(1)-উপযুক্ত কারণ ব্যতীত রাষ্ট্র কোনো নাগরিকের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারবে না।
- 15(2)-উপযুক্ত কারণে কোনো ব্যক্তি জনসাধারণের জন্য স্থানে (হোটেল) যেতে অপরাগ হবেন।
- 16 নং ধারা: সরকারী চাকুরীতে সমানাধিকার (Equality of opportunity in matter of public employment).
- In Article 16: the words ‘any employment or office applies’ only to public employments.
- 17 নং ধারা: অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ (Abolition of Untouchability). 1955 সালে অস্পৃশ্যতা সংক্রান্ত অপরাধ আইন (The untouchability Offence Act, 1955) পাশ হয়। এই আইনটির বর্তমানে নাম হল ‘Protection of Civil Rights Act, 1955’.
- 18 নং ধারা: কোনো খেতাব বা পদবি গ্রহণ করা যাবে না। (Abolition of Title), তবে 1954 সাল থেকে প্রদত্ত ভারতরত্ন, পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এগুলি কোনো উপাধি নয়, সম্মানজনক পুরস্কার মাত্র (Award)। শুধুমাত্র সামরিক ও বিদ্যাবিষয়ক খেতাব বা উপাধি গ্রহণ করা যাবে।
স্বাধীনতার অধিকার (Right to Freedom) 19নং থেকে 22নং ধারা:
19 নং ধারায় 6টি মৌলিক অধিকারের কথা বলা আছে-
- 19(ক) বাক্ ও মতামত প্রকাশের (স্বাধীনভাবে) অধিকার (Freedom of Speech & Expression).
- 19(খ) স্বাধীনভাবে সমবেত হওয়ার অধিকার (Freedom of Assembly).
- 19(গ) সভা ও সমিতি গঠন (Freedom to form Associations).
- 19(ঘ) স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার অধিকার (Freedom of Movement)
- 19(ঙ) স্বাধীনভাবে বসবাস করার অধিকার (Freedom of Residence or Settlement).
- 19(চ) সম্পত্তির অধিকার: 44তম সংশোধনীতে (1978) সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার থেকে বাদ দিয়ে আইনগত অধিকারের (Legal Right) স্বীকৃতি দেওয়া হয়। [ধারা-300(A)].
- 19(ছ) ব্যবসা, পেশা, জীবিকা ও বাণিজ্যের অধিকার (Right to Profession). [Art. 19 (g)-Freedom of Profession, occupation, Trade or business].
- 20 নং ধারা:
- 20(1) নং ধারা: যে সময়ে অপরাধ ঘটেছে, সেই সময়কার প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থাৎ প্রচলিত আইনভঙ্গের অপরাধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা যাবে
- 20(2) নং ধারা: একই অপরাধের জন্য একাধিকবার শাস্তি দেওয়া যাবে না। তবে অফিস ও আদালত পৃথকভাবে শাস্তি দিতে পারে (Double Jeopardy)।
- 20(3) নং ধারা: কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না।
- 21 নং ধারা: আইন নির্দিষ্ট পদ্ধতি ছাড়া কাউকে তার জীবন ও ব্যক্তিগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না (Protection of life and personal liberty)।
- 21Aনং ধারা: 6-14 বছরের শিশুদের অবৈতনিক শিক্ষার অধিকার ৪৪তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে (2002 সালে) মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত হয় (Art 21A)।
- Article 21A: in the Constitution of India that envisages free and compulsory education for children upto the age of 14 years.
জাতীয় জরুরী অবস্থা চলাকালীন রাষ্ট্র মনে করলে 19নং ধারায় উল্লেখিত অধিকার সঙ্কুচিত করতে পারে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই 20 এবং 21নং ধারা বাতিল করা যায় না।
- The National Green Tribunal Act, 2010 was enacted in consonance with the Right to healthy environment, construed as a part of Right to life under Article 21.
- Article 21: of the Constitution of India safeguards one’s right to marry the person of one’s choice.
- 22 নং ধারা:
- 22(1) নং ধারা: কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হলে সত্বর তাকে গ্রেপ্তারের কারণ জানাতে হবে। আটক ব্যক্তিকে তার পছন্দমত আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করা ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে।
- 22(2) নং ধারা: ধৃত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের 24 ঘন্টার মধ্যে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করতে হবে। এবং ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া ঐ সময়ের বেশি তাকে আটক রাখা যাবে না।
- 22(3) নং ধারা: ধারাশত্রুভাবাপন্ন বিদেশী এবং নিবর্তনমূলক আটক আইনে আটক ব্যক্তির ক্ষেত্রে উপরিউক্ত অধিকারগুলি প্রযোজ্য হবে না।
শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার: (Right Against Exploitation) 23-24 নং ধারা:
- 23 নং ধারা: বল প্রয়োগের দ্বারা পরিশ্রম করানো, মানুষ ক্রয়-বিক্রয়, বেকার খাটানো বিশেষ দণ্ডনীয় অপরাধ। অর্থাৎ নাগরিকের উপর শোষণ নিষিদ্ধ (Prohibition of traffic in human beings & forced labour)
- 24 নং ধারা: 14 বছরের কমবয়সী শিশুদের শ্রমিক হিসাবে বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ করা যাবে না। বিশেষ করে খনি, আতসবাজী শিল্প সহ অন্যান্য রিপজ্জনক কাজে।
ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার: (Right to Freedom of Religion) 25-28 নং ধারা:
- 25 নং ধারা: পেশা বা জীবিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে ধর্ম বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। এই ধারা বলে সকল ব্যক্তিই সমানভাবে বিবেকের স্বাধীনতা অনুসারে ধর্মমত গ্রহণ, ধর্মাচরণ ও ধর্ম প্রচারের স্বাধীনতা ভোগ করবে।
- Article 25: guarantees freedom of religion, is subject to Public order, morality, health and other Fundamental Rights.
- 26 নং ধারা: ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের স্বাধীনতা (Freedom to manage religious affairs) ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা Trust গঠন, দেবোত্তর বা পরোত্তর সম্পত্তি অর্জন ও ভোগ দখল করা যাবে।
- Article 26 of the Constitution of India states that subject to certain limitations, every religious denomination shall have the right to establish and maintain institutions for religious and charitable purposes.
- 27 নং ধারা: ধর্মীয় ক্ষেত্রে জোর করে কর বা চাঁদা আরোপ করা যাবে না।
- 28 নং ধারা: কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের অধিকার। কিছু বাধা নিষেধ-
- পুরোপুরি সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মশিক্ষা নিষিদ্ধ।
- সরকার কর্তৃক স্বীকৃত বা আংশিকভাবে সাহায্য প্রাপ্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ধর্মশিক্ষা দান একেবারে নিষিদ্ধ হয়নি। প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নিজেদের এবং বাকীদের অভিভাবকের সম্মতি প্রয়োজন।
- সম্পূর্ণ বেসরকারী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে বাধা নিষেধ আরোপ করা হয়নি। কোনো দাতা বা অছি কর্তৃক ধর্মশিক্ষার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের দ্বারা পরিচালিত হলেও সেখানে বাধ্যতামূলক ধর্মশিক্ষা দেওয়া যাবে।
- Article 28 of the Constitution of India states that no religious instruction shall be provided in any educational institution wholly maintained out of State funds.
সংস্কৃতি ও শিক্ষাগত অধিকার: (Cultural & Educational Rights) 29-30 নং ধারা:
- 29 নং ধারা: সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষা। নাগরিকদের সকল সম্প্রদায়কে নিজ নিজ ভাষা, সংস্কৃতি ও লিপি ব্যবহারের অধিকার দেওয়া হয়েছে।
- সম্পূর্ণভাবে সরকারী বা সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্ম, মূলবংশ, বর্ণ, ভাগ, শ্রেণি নির্বিশেষে প্রবেশাধিকার স্বীকৃত হয়েছে (29নং ধারা)।
- Article 29: of the Constitution of India states that no citizen
- shall be denied admission into any educational institution maintained by the State on receiving aid out of State funds on grounds only of religion, race, caste, language or any of them.
- 30 নং ধারা: সংখ্যালঘুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করার অধিকার। রাষ্ট্র এইরূপ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য করবে না।
31 নং ধারা: সম্পত্তির অধিকার (Right to Property) (Repealed). 44তম সংবিধান সংশোধনে (1978) এটি মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি হারায়। বর্তমানে এটি 300(A) নং ধারায় আইনগত অধিকার হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। (As legal right) কিন্তু অন্যান্য ধারা যেমন 31(A), 31(B) এবং 31(C) এখনও অবধি বলবৎ রয়েছে।
শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকার : (Right to Constitutional Remedies) 32-35 নং ধারা:
- 32 নং ধারা: কোনোরকম বঞ্চনার ক্ষেত্রে সুপ্রীম কোর্টে দ্বারস্থ হওয়ার অধিকার। এটিকে Heart & Soul of the Constitution বলেছেন ড: আম্বেদকর।
- 33 নং ধারা: বাহিনীর নির্দিষ্ট অধিকার সংশোধনের অধিকার পার্লামেন্টকে দেওয়া হয়েছে।
- Article 33 of the Constitution provides that the parliament will determine that extent of fundamental rights for the members of the Armed Forces.
এই পোষ্টের PDF পেতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন;
Post Comment